What Are IoT Devices - আইওটি ডিভাইস কি?
![]() |
IoT Devices - আইওটি ডিভাইস |
আইওটি ডিভাইস মূলত স্মার্ট সংক্রিয় ডিভাইস যা ইন্টারনেট সংযোগের সাহায্যে চলে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যান্য ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম, এবং ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
অপার সম্ভাবনাময় আইওটি (IOT) ডিভাইস! প্রযুক্তির উন্নতি ও মানুষের স্ট্যাইলিস জীবনযাত্রা।
যদি এমন হয়, ঘুম থেকে উঠার সময় হলেই - রুমের সকল লাইট অটোমেটিক জ্বলে উঠবে সাথে মৃদু একটি মিউজিক বাজবে। আপনি দরজার সামনে আসার সাথে সাথে ডোর অটোমেটিক খুলে গেলো আর গাড়িটি চালকবিহীন শক্তিতে অফিস গন্তব্যে আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আবার সংক্রিয়ভাবে গ্যারেজে চলে আসবে এবং সংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
হ্যাঁ, এসব কিছুই এখন বাস্তব সত্য যা আগে ছিলো শুধু কল্পনা!
উপরে যেটুকু বল্লাম, এরকম হাজারো দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন হচ্ছে এই আইওটি ডিভাইস এর বদৌলতে।
উন্নত বিশ্ব, স্বল্পন্নত দেশসহ প্রায় সকল দেশেই ব্যবহার হচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিভাই বা আওটি (iot), এগুলোকে ভিন্ন নামেও ডাকা হয় Internet-of-Things (IoT).
নীচে iot device এর কিছু ক্যাটাগরি বা ধরণ দেখে নেয়া যাক
- Smart home security systems-এগুলো সাধারনত বাসা-বাড়িতে সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।
- Wearable health monitors - এই ধররে ডিভাইস মূল্যত: স্বাস্থ্য সু-রক্ষার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে যেমন ধরুন ব্ল্যাড প্রেশার চেক, ব্ল্যাডসুগার এর পরিমান নিরুপণ ইত্যাদি।
- Smart factory equipment নাম থেকেই বোজা যাচ্ছে- এই ডিভাইসগুলো একটি ফ্যাক্টরির অন্যান্য ডিভাইসগুলোকে সংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করে থাকে।
- Wireless inventory trackers- ইনভেন্টরী কোন মালামাল কতটা আছে, কতটা আবার আনতে এসব কাজ সংক্রিয়ভাবে এই ডিভাইস করে দিবে।
তাহলে আর মানুষের দরকার কী?
5. Ultra-high speed wireless internet- এগুলো আমরা সবসময়ই দেখে থাকি যেমন; internet speed booster.
6. Biometric cybersecurity scanners- এটাও আমাদের দেশে ব্যবহার হচ্ছে, বিশেষ করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিকিউরিটি যাচাই করার জন্য, অনেকটাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই মেশিন।
বিশেষ ধরনের ৫টি IoT ডিভাইস
আইওটি ডিভাইস এর লিস্ট অনেক লম্বা, সেখান থেকে বাছাই করে ৫টি বিশেষ আইওটি ডিভাইস এর ফাংশন বা ব্যবহার তুলে ধরা হলো:
১) Google Home Voice Controller - এটি গুগল এর একটি স্মার্ট ডিভাইস যা গানশোনা, এলার্ম এবং রুমের ভেতরে লাইট কন্ট্রোল করে থাকে।
২) Amazon Echo Plus Voice Controller- এটি গুগল এর একটি স্মার্ট ডিভাইস যা গানশোনা, এলার্ম এবং রুমের ভেতরে লাইট কন্ট্রোল করে থাকে।
![]() |
Amazon Echo Plus Voice Controller |
3) August Smart Lock- এটির সাহায্যে আপনি আপনার বাসার দরজাগুলো কন্ট্রোল করতে পারবেন যেমন; দরজা খুলে দেয়া, আটকানো, পরিচিত ব্যাক্তিছাড়া দরজা না খোলা ইত্যাদি। এসব কাজ আপনি দূরবর্তী জায়গায় থেকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
![]() |
August Smart Lock |
![]() |
Kuri Mobile Robot |
৫) Footbot Air Quality Monitor - রুমের ভেতরে হিমোডি কন্ট্রোল করে, বাতাসে দুষণ বা air pollusion কমাতে সাহায্য করে। বাসাবাড়ি, অফিস, দোকান সবজায়গাই এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।
![]() |
Footbot Air Quality Monitor |
IoT Device ব্যবহারের কিছু সুবিধা বা Advantage
- প্রথমত: এটি মানুষের নিজে নিজে করা কাজকে কমিয়ে দিয়েছে বহুলাংশে।
- AI technology হওয়ায় নির্দিষ্ট কাজ নির্দিষ্ট সময়ে নিভূলভাবে করা সম্ভব।
- সহযেই এক মেশিনের সাথে আরেক মেশিনের সংযোগ স্থাপন করতে পারে
- মানুষের চেয়ে বেশী বুদ্ধিসম্পন্ন মনিটরিং ফিচার্স আছে এতে।
- AI technology ব্যবহারের ফলে সময় অনেক বেঁচে যায়।
- ব্যবহারে খরচ কম, ম্যানুয়ালী বেশী কাজ করতে হয় না।
অসুবিধা বা Disadvantages
- এই ডিভাইসগুলো সব দেশের জন্য সমানভাবে compitable নয়
- এটা সত্য যে, এখন পর্যন্ত এই ডিভাইসগুলো ১০০% নিঁখুত কাজ করতে পারেনা (গবেষণা চলছে)।
- ব্যবহার কারীদের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল।
- বহুল ব্যবহারে বেকারত্ব বাড়াবে অনেকাংশে।
মূল কথা হচ্ছে iot devices মূলত: বিশেষ ধরনের রোবট যা ইন্টারনেট কানেকশন এর সাহায্যে চলে এবং রোবটিক সিগন্যাল এর মাধ্যমে অন্যান্য ডিভাইসগুলোকে পরিচালনা করে। এটি ব্যবহারের ফলে মানুষের কাজকর্ম সহজতর হয়েছে। কিন্তু, এর বহুল ব্যবহারে বিশ্বজুড়ে বেকার হয়ে পড়বে অনেক মানুষ।
ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন ভাই। এই ধরনের আরো প্রযুক্তি বিষয়ক আসা দরকার।
উত্তরমুছুন